হোম আমাদের সম্পর্কে জেলা বিচার বিভাগের ইতিহাস
চট্টগ্রাম জেলার ইতিহাস:
চারপাশে সবুজ ও সাগরে ঘেরা লুসাই পাহাড় থেকে নেমে আসা কর্ণফুলী নদী বিধৌত জনপদের নাম চট্টগ্রাম। বার আউলিয়া ও বহু গাউস কুতুব পীর আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম। ১৩০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালাল (রাঃ) যে ৩৬০ জন অনুসারী নিয়ে এদেশে আসেন তার মধ্যে অন্যতম বদর শাহ (রাঃ)। তার মাধ্যমেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূত্রপাত। ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে হয়রত বদর শাহ (রাঃ) এর সমর্থনে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ চট্টগ্রাম দখল করার পর প্রায় দুইশত বছর চট্টগ্রাম মুসলিমদের শাসনে থাকে।
চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা। অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। একসময় তিন পার্বত্য জেলাও চট্টগ্রামের অন্তর্ভূক্ত ছিল। চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮ টি নামের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাটগাঁও, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম ইত্যাদি অন্যতম। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় চাঁটি অর্থ বাতি বা চেরাগ এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে চাটিগাঁও নামকরণ করা হয়েছে বলে বেশিরভাগ ইতিহাসবিদ মনে করেন।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের ইতিহাস :
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের ইতিহাস প্রায় ১৩১ বছরের ইতিহাস। ১৮৯২-১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলীতে প্রতিষ্ঠিত কোর্ট বিল্ডিং একটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যকীর্তি। ঐতিহাসিকদের মতে ১৬৬৭ সালে মুঘল শাসকরা চট্টগ্রাম দখল করে। এর আগে পর্তুগীজ ও মগদের দ্বারা শাসিত ছিল এ অঞ্চল। আদালতের ভবনের এ জায়গা একসময় পরীর পাহাড় নামে পরিচিত ছিল। এ পাহাড় একসময় পর্তুগীজ ব্যবসায়ী জন হ্যারির নিজস্ব সম্পত্তি ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত বদলে উনিশ শতকের মাঝামাঝি পটিয়ার জমিদার অখিল চন্দ্র সেন তৎকালীন ৯০০ টাকা দিয়ে পরীর পাহাড় খরিদ করেন। ১৮৮৯ সালে ইংরেজরা আদালত ভবন নির্মানের জন্য এ পাহাড় অখিল চন্দ্র সেনের কাছ থেকে হুকুম দখল করেন। ভবন নির্মানের পর থেকে পরীর পাহাড় কোর্ট হিল বা কোর্ট বিল্ডিং নামে পরিচিতি লাভ করে।
পুরনো ভবন নির্মানের প্রায় সোয়া একশো বছর পর ২০০৮ সালে নতুন ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরনের পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ইতিহাসঃ
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালীন মহানগর দায়রা জজ ছিলেন জনাব আফজাল হোসেন আহমেদ, বর্তমানে মহানগর দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেগম জেবুন্নেছা। উল্লেখ্য বর্তমান মহানগর দায়রা জজ প্রথমবারের মত চালু হওয়া সম্মানজনক প্রধান বিচারপতি পদক প্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে ৭ জন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও ৭ জন যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ কর্মরত আছেন।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৬ টি থানা চীফ মেট্রোপলিটন আদালত, চট্টগ্রামের আওতাধীন। একজন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬ জন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠিত। প্রতিষ্ঠাকালীন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন জনাব জালাল আহমেদ। বর্তমানে জনাব মোঃ রবিউল আলম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
আমাদরে কথা
চট্টগ্রাম জেলার ইতিহাস:
চারপাশে সবুজ ও সাগরে ঘেরা লুসাই পাহাড় থেকে নেমে আসা কর্ণফুলী নদী বিধৌত জনপদের নাম চট্টগ্রাম। বার আউলিয়া ও বহু গাউস কুতুব পীর আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম। ১৩০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহজালাল (রাঃ) যে ৩৬০ জন অনুসারী নিয়ে এদেশে আসেন তার মধ্যে অন্যতম বদর শাহ (রাঃ)। তার মাধ্যমেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূত্রপাত। ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে হয়রত বদর শাহ (রাঃ) এর সমর্থনে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ চট্টগ্রাম দখল করার পর প্রায় দুইশত বছর চট্টগ্রাম মুসলিমদের শাসনে থাকে।
চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা। অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়। একসময় তিন পার্বত্য জেলাও চট্টগ্রামের অন্তর্ভূক্ত ছিল। চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮ টি নামের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাটগাঁও, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম ইত্যাদি অন্যতম। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় চাঁটি অর্থ বাতি বা চেরাগ এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে চাটিগাঁও নামকরণ করা হয়েছে বলে বেশিরভাগ ইতিহাসবিদ মনে করেন।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের ইতিহাস :
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের ইতিহাস প্রায় ১৩১ বছরের ইতিহাস। ১৮৯২-১৮৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলীতে প্রতিষ্ঠিত কোর্ট বিল্ডিং একটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যকীর্তি। ঐতিহাসিকদের মতে ১৬৬৭ সালে মুঘল শাসকরা চট্টগ্রাম দখল করে। এর আগে পর্তুগীজ ও মগদের দ্বারা শাসিত ছিল এ অঞ্চল। আদালতের ভবনের এ জায়গা একসময় পরীর পাহাড় নামে পরিচিত ছিল। এ পাহাড় একসময় পর্তুগীজ ব্যবসায়ী জন হ্যারির নিজস্ব সম্পত্তি ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাত বদলে উনিশ শতকের মাঝামাঝি পটিয়ার জমিদার অখিল চন্দ্র সেন তৎকালীন ৯০০ টাকা দিয়ে পরীর পাহাড় খরিদ করেন। ১৮৮৯ সালে ইংরেজরা আদালত ভবন নির্মানের জন্য এ পাহাড় অখিল চন্দ্র সেনের কাছ থেকে হুকুম দখল করেন। ভবন নির্মানের পর থেকে পরীর পাহাড় কোর্ট হিল বা কোর্ট বিল্ডিং নামে পরিচিতি লাভ করে।
পুরনো ভবন নির্মানের প্রায় সোয়া একশো বছর পর ২০০৮ সালে নতুন ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরনের পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ইতিহাস:
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত, ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালীন মহানগর দায়রা জজ ছিলেন জনাব আফজাল হোসেন আহমেদ, বর্তমানে মহানগর দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেগম জেবুন্নেছা। উল্লেখ্য বর্তমান মহানগর দায়রা জজ প্রথমবারের মত চালু হওয়া সম্মানজনক প্রধান বিচারপতি পদক প্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে ৭ জন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও ৭ জন যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ কর্মরত আছেন।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৬ টি থানা চীফ মেট্রোপলিটন আদালত, চট্টগ্রামের আওতাধীন। একজন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬ জন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠিত। প্রতিষ্ঠাকালীন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন জনাব জালাল আহমেদ। বর্তমানে জনাব মোঃ রবিউল আলম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।